পঞ্চ গড়ের দেশে ----
----------------------
বাংলাদেশের ভৌগলিক সীমানার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের শেষ প্রান্তের জনপদ পঞ্চগড় জেলা। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত রাজনগড়, মিরগড়, ভিতরগড়, দেবেনগড় ও হোসেনগড় নামক পাঁচটি গড়ের (দূর্গ) সমন্বয়ে গঠিত পঞ্চগড় জেলা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি পঞ্চগড় জেলার তিন দিকেই ভারতীয় সীমান্ত দ্বারা বেষ্টিত।
কাজী এন্ড কাজী টি এস্টেট (জেমকন লি.) এর আনন্দ ধারা, আনন্দ পাহাড়
তেঁতুলিয়া উপজেলার ৮/১০ কি. মি. দূরে শালবাহান ইউনিয়ের রওশনপুর এলাকায় সুনিবির পরিবেশে গড়ে উঠেছে মনোরম অবকাশ যাপন রিপোর্ট।
এর পাশেই রয়েছে সমতল ভূমিতে বিশাল এলাকা জুড়ে চায়ের বাগান,কাজী গরুর ফার্ম, কাজী ডেইরী ফার্ম, কুত্তার ফার্ম।
লেকের উপর নির্মিত মাল্টিপল ব্রিজ আবাসনগুলোকে সেতু বন্ধনে আবদ্ধ করেছে।
নিঁপূন হাতে তৈরী আবাসনগুলোর চারপাশে রোপিত শোভাবর্ধন গাছগুলো অতিরিক্ত সৌন্দর্য
বাংলা টি ম্যানুফ্যাক্সারিং ইন্ড্রাষ্ট্রিজ লিঃ
তেতুলিয়ার আরেকটি দর্শনীয় স্থান হল বাংলা টি ম্যানুফ্যাক্সারিং লিঃ। এখানে সরাসরি চায়ের কচি পাতা থেকে চা তৈরী করা হচ্ছে।
এখানকার চায়ের ঘ্রাণ খুব মহনীয়।
চা বাগানের কথা--
চা বাগানের কথা উঠলেই মনে হয় সিলেট বা শ্রীমঙ্গলের কথা। উচু নিচু সবুজে ঘেরা টিলা আর পাহাড় তার গাঁয়ে সারি সারি চা গাছ।
কিন্তু সমতল ভূমিতেও যে চা বাগান হতে পারে তা তেঁতুলিয়া না এলে বোঝা যাবে না। দেশের সর্ব উত্তরের উপজেলা তেতুলিয়া গড়ে উঠেছে এমন অর্গানিক চায়ের প্রাণ জুড়ানো সবুজ বাগান।
এ দেশে অর্গানিক ও দার্জিলিং জাতের চায়ের চাষ হয় একমাত্র তেঁতুলিয়ার বাগানগুলোতেই।
ইতিমধ্যে এ চা দেশে এবং দেশের বাইরেও সুনাম অর্জন করেছে।
পঞ্চ গড়ের দেশে - পাথরেই প্রাণ পায় তারা!!!
-----------------------------------------------------------
তেঁতুলিয়ার মহানন্দা নদী থেকে বংশপরম্পরায় নুড়ি পাথর সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন তেতুলিয়ার হাজার পাথর শ্রমিক। দেশের সর্ব উত্তরের এ উপজেলায় অন্য কোনো কাজের তেমন সুযোগ নেই। তাই বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তঘেঁষা এ নদীর পাথরেই জুটছে তাদের ভাগ্যান্নয়।
দার্জিলিংয়ে হিমালয়ের কোল থেকে উৎপন্ন এ নদী বয়ে নিয়ে আসে অসংখ্য নুড়ি পাথর। পানি কমে গেলেই শ্রমিকরা দল বেঁধে পাথর তুলতে নেমে পড়েন এ নদীতে।
প্রতিদিন একজন শ্রমিক গড়ে ৭০০-৮০০ টাকার পাথর সংগ্রহ করেন। প্রতি ১ সিএফটি পাথর বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়।
পাথর ভাঙ্গা মহিলা শ্রমিক পান ৩০০ টাকা পুরুষ পান ৩৫০ টাকা।
উত্তোলিত পাথর ভেঙ্গে ৪ ধরনের পাথর পাওয়া যায়।
পাথর উত্তোলনের সিংহভাগ টাকা চলে যায় আড়তদারের হাতে!!!
পঞ্চগড়ের দেশে --- বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট-
------------------------------------------------------------
হিমালয়ের কোল ঘেঁষে বাংলাদেশের সর্বোত্তরের উপজেলা তেঁতুলিয়া। এই উপজেলার ১নং বাংলাবান্ধা ইউনিয়নে অবস্থিত বাংলাদেশ মানচিত্রের সর্বোত্তরের স্থান বাংলাবান্ধা জিরো (০) পয়েন্ট ও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর।
এই স্থানে মহানন্দা নদীর তীর ও ভারতের সীমান্ত সংলগ্ন প্রায় ১০ একর জমিতে ১৯৯৭ সালে নির্মিত হয় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর। নেপালের সাথে বাংলাদেশের পণ্য বিনিময়ও সম্পাদিত হয় বাংলাবান্ধা জিরো (০) পয়েন্টে।
তেঁতুলিয়ার ডাক-বাংলা
--------------------------------
বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের উপজেলা তেঁতুলিয়া। এখানকার দর্শনীয় স্থান হল ডাকবাংলো। ডাক-বাংলোটি জেলা পরিষদ কর্তৃক পরিচালিত। এর পাশাপাশি তেঁতুলিয়া উপজেলাপরিষদ কর্তৃক নির্মিত একটি পিকনিক কর্ণার রয়েছে।
ডাকবাংলোর পাশ দিয়ে বয়ে গেছে মহানন্দা নদী।
এটি ভারতের সীমান্ত সংলগ্ন অর্থাৎ নদীর এপার বাংলাদেশ ওপার ভারত। এ নদী থেকে অসংখ্য লোক নূড়ী পাথর সংগ্রহ করে।