করোনায় পৃথিবী বদলে গেলেও, বদলাইনি বাঙালির অাচরন। করোনা গোটা পৃথিবীর জন্য ভয়াবহ হুমকি হলেও, বাঙালির কাছে অবিশ্বাস্য জীবাণুমাত্র। মানুষ অভ্যাসের দাস ' কথাটা মিথ্যে নয়। কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য যে, বদঅভ্যাস মানুষের শিরায় উপশিরায় এত মাত্রায় মিশে গেছে তা সাবান সোডা ছাই দিয়ে ঘষে তোলাও অসম্ভব! রাজধানী, বিভাগীয় শহর,জেলা শহরগুলোতে সচেতনতার কারনে মানুষ অনেকটা লকডাউন মেনে চললেও বাহিরের পুরোটই ভিন্ন। এখানে স্বাভাবিকতায় সবই চলছে; শুধু নামে চলছে 'লকডাউন"। হাটবাজার, দোকান পাট,রিক্সা ভ্যান,করিমন লছিমন, ট্রাক পিকাঅাপ সহ স্বাভাবিক কাজকর্ম চলছে অবাদে। গ্রাম গঞ্জের পাড়া মহল্লায় দোকানে মেতে উঠছে অাড্ডা গল্পের অাসর। ঘরে বাইরে কোন কাজ না থাকায় দিনমজুর শ্রমিক গামছা মুখে বেধে রাস্তার পাশের দোকানগুলোতে বসে বীরের মত করোনাভাইরাস খুঁজছে অাকাশে বাতাসে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সকাল বিকাল শিক্ষার্থীর রাস্তার পাশে দলবেঁধে অাড্ডা মারছে। Don't care. যাদের হাত পাতার অভ্যাস অাছে, দেখা যায় যেকোনো সরকারি ত্রান এলেই তাদের হাত অাগেই থাকে! মূলত কষ্টে অাছেন বয়স্কা, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্ত মহিলা এবং বয়োবৃদ্ধ পুরুষ। সরকার অাইন করে অাপ্রান চেষ্টার মাধ্যমে জনগণকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ঘরেই থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। সেনাবাহিনী পুলিশবাহিনী মাঠে নেমে মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করছেন। এই কাজ করতে গিয়ে তাঁরাও কিন্তু অাজ করোনায় অাক্রান্ত। তাদের জীবনের ঝুঁকিময় শ্রম-ঘামের মূল্যায়ন কতটুকু? নিজে কিংবা পরিবার, সমাজ দেশ জাতিগোষ্ঠী বাঁচাতে হলে 'লকডাউন' কে তালাবন্ধতা মনে করে এক্ষণি সচেতন হোন। নিজে ঘরে থাকুন, নিরাপদে থাকুন। লেখক: জাকির সেলিম সহ:অধ্যাপক, সাংবাদিক, কলামিস্ট।